
বাড়ির পোষ্য বিড়াল ছানারজলের সম্পর্ক ঠিক কেমন, তা নিয়ে বহু মালিকই চিন্তায় থাকেন। ছোট্ট পোষ্যর গায়ে জল লাগলে, সে কি ভয় পাবে? তার কি শরীর খারাপ হবে? সে কি জল দেখে পালায়? এমন নানা প্রশ্ন মালিকের মনের মধ্যে পাক খায়। এই প্রশ্নের উত্তর পেতে দেখে নিতে হবে বিড়ালের প্রকৃতি।
কিছু বিড়াল রাস্তাঘাটে বড় হয়, তারা জলের সংস্পর্শ কিছুটা এড়িয়ে চলে। যারা বনেবাদাড়ে বড় হয়, তারা সচরাচর জলের সংস্পর্শে আসেই না। কারণ তারা বড় হয় গাছপালার মধ্যে, কখনও আবার গাছহীন তৃণভূমির মধ্যে। এই সব এলাকা সমুদ্র থেকে অনেকটাই দূর। যুগের পর যুগ ধরে বিড়াল এই সমস্ত এলাকাতেই বড় হয়েছে। ফলে সাধারণত বিড়াল জলের সংস্পর্শে আসা পছন্দ করে না। শরীর পরিষ্কার করতে বিড়ালের জলের প্রয়োজন হয় না। তারা নিজেদের শরীর জিভ দিয়ে চেটে পরিষ্কার করে নেয়।
এ বার প্রশ্ন হয়ৃল, আপনার বাড়ির পোষ্য ছানাটি বৃষ্টিতে ভিজে গেলে, আপনি কী করবেন? শরীর শুকনো করার জন্য আপনার পোষ্য কয়েক ঘণ্টা সময় নেবে। এই সময় যদি পারেন, ওর গায়ের জল তোয়ালে বা নরম কাপড় দিয়ে মুছে দেবেন। না হলে ওর ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে।
তবে বিড়াল যে সব সময় জল অপছন্দা করে, তাও নয়। বিড়ালও জল নিয়ে খেলতে পছন্দ করে। লক্ষ্য করে দেখবেন, কোনও ফাটা পাইপ থেকে হয়তো জলের ফোঁটা পড়ছে। সেই ফোঁটাগুলোকে ও খেলার ছলে ধরার চেষ্টা করছে। এমনকী অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছকে সাঁতরাতে দেখলে, ওরও সাঁতার কাটার শখ হয়। কোনও কোনও জাতের বিড়াল আবার নিজেই বাথটাবে লাফিয়ে পড়ে। বিশেষ করে টার্কিশ বিড়ালরা সাঁতার কাটতে খুবই পছন্দ করে। আবার বেঙ্গল ক্যাট প্রজাতির বিড়ালরা জমে থাকা জল নিয়ে খেলা করে মজা পায়।
এ বার আসা যাক, খাবারের কথায়। কিছু বিড়াল শুকনো খাবার খায় না। তারা ভিজে খাবার খেতে পছন্দ করে। কারণ, সেই খাবার থেকেই তারা তাদের প্রয়োজনীয় জল পেয়ে যায়। কিন্তু বাড়ির পোষ্য বিড়াল বাজারজাত কিটেন ফুড খায়। তা থেকে সে তার প্রযোজনীয় পুষ্টি পেলেও, তাকে আলাদা করে জল দিতে হয়। মনে রাখবেন, আপনার এই পোষ্যটির জল খাওয়ার পাত্র যেন সব সময় ভার্তি থাকে। সটিক পরিমাণে জল না পেলে তার কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। যদিও বাচ্চা বিড়াল তার রোজকার প্রয়োজনীয় জল অনেকটাই পেয়ে যায় তার খাদ্য থেকে। চেষ্টা করবেন, তার খাবার ভিজিয়ে দেওয়ার।
Post a Comment
You must be logged in to post a comment.