
আপনি কি হালে বাড়িতে বিড়াল ছানা পুষতে শুরু করেছেন? তা হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে দিকে আপনাকে নজর দিতে হবে, সেটি হল তার খাবার। কারণ আপনাকে মনে রাখতে হবে, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিড়ালের খাবারের পরিমাণ বদলে যায়। লক্ষ্য রাখতে হবে, যে খাবারই তাকে দেওয়া হোক, তা যেন পুষ্টিকর এবং সহজ পাচ্য হয়। হজম করতে অসুবিধে হয়, এমন খাবার তাকে দিলে, তার বেড়ে ওঠায় ব্যাহত হবে। মাংসপেশি এবং হাড়ের গড়ন ঠিক মতো হবে না এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তৈরি হবে না। পাশাপাশি অতিরিক্ত পুষ্টিকর খাদ্য দিলেও ক্ষতি হবে তার। তাই তাকে দিতে হবে ঠিক পরিমাণ খাদ্য যার মধ্যে নিউট্রিশনাল ব্যালান্স বা পুষ্টির ভারসাম্য থাকে।
১) বিড়ালকে তাই খেতে দিন যা তার পক্ষে ভালো: একেবারেই অবরে-সবরে বিড়াল অসুস্থ হয়। কখনও সখনও তাদের বমি হতে পারে বা তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। তাই বিড়ালকে সেটাই খেতে দিন যা তার শরীরের জন্য ভালো, তার বৃদ্ধির সহায়ক।
২) মেনু কী: এবারেই যেন মশলা না থাকে ওর খাবারে। এ দিকে নজর দিতে হবে গোড়া থেকেই। মনে রাখতে হবে আমরা যা খেয়ে হজম করতে পারি, ওরা সেটা পারে না। মশলা খেলে পেট খারাপ হবে ওদের। তাই এমন খাবার দেবেন, যা ঠিক ওর কথা ভেবেই তৈরি। ওর স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই বাজারজাত ক্যাটফুডে ওর প্রয়োজনীয় সমস্ত ভিটামিন, মিনারেলস এবং প্রোটিন থাকে।
৩) একদম বাদ কী কী: কাঁচা মাছ অথবা মাংস একেবারেই নয়। এর মধ্যে সালমনেলা নামের এক ধরনের ব্যাধির জীবাণু থাকে। কাঁটা বা হাড় যেন ওর খাবারে না থাকে। গলায় আটকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ওকে দিন প্রোটিন, ভিটামিন আর মিনারেল সমৃদ্ধ এমন খাবার যাতে পুষ্টির ভারসাম্য থাকে।
৪) সঠিক খাবার দিলেই বিড়াল সুস্থ ভাবে বাঁচবে: বিড়ালকে সুস্থ রাখার একমাত্র চাবিকাঠি হল মন দিয়ে তার যত্ন করা। ওকে দিন অফুরান ভালোবাসা আর সুস্বাদু এবং পুষ্টির ভারসাম্য আছে এমন খাবার। খাদ্যে পুষ্টি থাকলেই, ওর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে, যা কোনও অসুস্থতার বিরুদ্ধে ওকে লড়াই করতে সাহায্য করবে। ওর ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাজারজাত কিটেন ফুড খাওয়ালে, সেটা অনেক বেশি কাজে দেবে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিড়ালের শরীরের কোষ ঠিক মানুষদের মতোই। এই কোষ প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে ফ্রি র্যাডিক্যালস দ্বারা, যা ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়। এর হাত থেকে বিড়ালকে রক্ষা করতে পারে, পুষ্টির ভারসাম্য আছে এমন ক্যাটফুড। তাই বিড়ালকে সুস্থ রাখতে এই ধরনের ক্যাটফুডের উপর নির্ভর করাই শ্রেয়।
Post a Comment
You must be logged in to post a comment.