
হালের এক ঘটনা স্তম্ভিত করে দিয়েছিল চিকিৎসা বিজ্ঞানিদের। এক ৭৫ বছরের আমেরিকান বৃদ্ধ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানান, তাঁর পোষ্য কুকুরটি সারাক্ষণ তাঁর কানের পিছনের অংশের গন্ধ শুঁকছে এবং চাটতে চাইছে। এর পর পরীক্ষা করে দেখা যায়, বৃদ্ধের কানের পিছনের ওই অংশে ত্বকের ক্যান্সার হয়েছে। এই ঘটনা থেকেই বিজ্ঞানীদের ধারণা হয়, কুকুর ক্যান্সার সম্পর্কে আভাস দিতে পারে। কোনও পরীক্ষা ছাড়াই শুধু পোষ্যের গুণেই যে কেউ টের পেতে পারেন, তাঁর ক্যান্সার হয়েছে কিনা। তবে এ জন্য পোষ্যকে আলাদা করে প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার।
কুকুর নানা ভাবে মানুষের সাহায্য করে আসছে যুগের পর যুগ ধরে। কিন্তু হালের চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, কুকুরের ক্ষমতা রয়েছে, এই ভাবে মানুষের প্রাণ বাঁচানোরও।
কী ভাবে কুকুর বুঝতে পারে, কেউ ক্যান্সার আক্রান্ত কিনা? গবেষণা বলছে, কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিলে তারা ক্যান্সারের কোষের গন্ধ পেতে পারে। তবে সামনে কোনও আক্রান্ত ব্যক্তিকে দাঁড় করালেই হয়তো কুকুর বলতে পারবে না, তাঁর এই অসুখটি হয়েছে কিনা। এ জন্য কুকুরকে আলাদা করে তাঁর ত্বক, নিঃশ্বাস, ঘাম এবং মল-মূত্রের গন্ধ নিতে হবে।
কুকুরের ঘ্রান শক্তি মারাত্মক তীব্র বলেই তাদের পক্ষে এই অসুখের গন্ধ পাওয়া সম্ভব বলে বলছেন চিকিৎসকরা।
আগামী দিনে এই কারণেই কুকুরকে ক্যান্সার চিকিৎসার কাজে লাগাতে চাইছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন বহু মানুষই থাকেন, যাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়া কঠিন। তাঁদের ক্ষেত্রে খুব সহজেই কুকুর কাজে লাগতে পারে, এই অসুখটি চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে। তাঁদের বাড়িতেই হয়ে যেতে পারে প্রাথমিক পরীক্ষাটি।
তবে এটি শুধু যে ক্যান্সার রোগের মধ্য সীমাবদ্ধ থাকবে, তেমনটাও নয়। আগামী দিনে অন্য অসুখের পূর্বাভাস দিতেও কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতে পারে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
Post a Comment
You must be logged in to post a comment.