
আপনার পোষ্যের শুধু শারীরিক নয়, মনের দিকটাতেও নজর রাখা খুব জরুরি। মানসিক পুষ্টি না তাকলে আপনার পোষ্য কুকুরটি উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠতে পারে ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে পোষ্য মালিকরা তাঁদের কুকুরের মানসিক ব্যায়ামের ব্যাপারটা এড়িয়ে চলেন। তাঁদের এটা বুঝতে হবে যে মানসিক ব্যায়াম একটি কুকুরের বড় হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।
জেনে রাখুন যে সব কুকুর পরিবেশের সংস্পর্শ এবং মন ভালো থাকার উপকরণ থেকে বঞ্চিত, তাদের কিন্তু ব্যবহারিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতি অবশ্যই আপনি আপনার কুকুরকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলুন যাতে তাকে সামান্য মস্তিষ্ক খাটাতে হয়।
আপনি চান আপনার কুকুর বাধ্য হোক। বসতে বললে বসবে, দাঁড়াতে বললে দাঁড়াবে, লাফাতে বললে লাফাবে। কিন্তু এই রকম ট্রেনিং আপনি যখন তাকে দেন তখন কিন্তু তাকে মাথা খাটানোর জন্য কোনও কিছুই করতে হয় না। এর জন্য এমন কাজ তাকে দিন যাতে তাকে অন্তত কিছুটা ভাবতে হয়।
মাথায় রাখতে হবে যখন এই ধরণের মাথা খাটানোর কাজ শেখাবেন তখন সেটা যেন সে খুশি মনে করে। না হলে সে সেই কাজ করতে চাইবে না। ধরুন তাকে শেখাবেন একটা রিং লাফ দিয়ে পেরোলেই সে একটা বিস্কিট পাবে। কীভাবে সে লাফ দিয়ে বিস্কিট অর্জন করবে সেটা তাকে ভাবতে দিন। এই ভাবনাটাই তার মানসিক ব্যায়াম।
আপনি আপনার কুকুরকে নিয়ে নতুন নতুন জায়গায় যান যেগুলোর গন্ধ, দৃশ্য, শব্দ, টেক্সচার আলাদা। আপনি নিশ্চয়ই জানেন কুকুরের ঘ্রাণশক্তি আমাদের চেয়ে হাজারগুণ বেশি। এই নতুন নতুন জায়গায় তাকে নিয়ে গেলে তার অন্য অনুভূতি বা সেন্স সম্পর্কেও একটা ধারণা তৈরি হবে। যদি এক রাস্তাতেই ঘোরাঘুরি করতে হয় তাহলে সেই পথেই আপনি খুঁজে বের করে নিন এমন একটি জায়গা যেখানে গেলে আপনার পোষ্যটি নতুন নতুন গন্ধের সন্ধান পাবে।
আপনার পোষ্যের জন্য বেশ কিছু অন্য রকমের পাজল বা ধাঁধা আর খেলনা কিনে ফেলুন। এই ধাঁধা বা খেলনা নির্বাচনে আপনি যত বেশি ক্রিয়েটিভ হবেন ততই ভালো আপনার পোষ্যের পক্ষে। হাইড অ্যান্ড সিক জাতীয় পাজল কুকুরের ব্রেন ডেভলপমেন্টের পক্ষে খুবই কাজের। আপনি নিজে হান্টিং গেমে সঙ্গ দিতে পারেন তাকে। এমন ব্যবস্থা করবেন যাতে হান্টিং শেষে সে কিছু খাদ্য পায়। এই খাবারের লোভেই সে মাথা খাটাবে। এইভাবেই তার মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটবে।
পোষ্যের মানসিক বিকাশের জন্য আউটিং-এ যান। যাতে সে নতুন নতুন মুখ, নতুন নতুন জায়গা দেখার সুযোগ পায়। আপনার গাড়িতে তাকে পাশে বসিয়ে ঘুরে বেড়ালে এই সুযোগ আপনার পোষ্য পাবে। এই কাজটা করলে পোষ্যকে এক নতুন ধরনের মেন্টাল চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলে দেওয়া যাবে। পাশাপাশি সে আরও বেশি সামাজিক হয়ে উঠবে।
Post a Comment
You must be logged in to post a comment.